আজ সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নেইমার নয় কুতিনহোকে নিয়ে মেক্সিকানদের যত ভয়

মেক্সিকানদের যত ভয়

 মেক্সিকানদের যত ভয়

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ব্রাজিলের বড় তারকা নেইমার। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারের দিকেই চোখ সবার।  রাশিয়া বিশ্বকাপে  নিজেকে  মেলে ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের এ ফরোয়ার্ড। রাশিয়ার মঞ্চে আলোকিত ফিলিপে কুতিনহো। তিন ম্যাচে বার্সেলোনার এ সুপারস্টার করেছেন দুই গোল। যেখানে নেইমারের গোল একটি। শুধু কি তাই, সার্বিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাওলিনহোকে দিয়ে যে গোলটি করিয়েছেন কুতিনহো, তা ছিল চোখে পড়ার মতো।

সোমবার সামারায় মেক্সিকোর বিপক্ষে নকআউট পর্বের ম্যাচের আগেও আলোচনায় কুতিনহো নেইমার।

ব্রাজিলকে নিয়ে মেক্সিকো শিবিরে যে কাটাছেঁড়া শুরু হয়ে গেছে, তা কিন্তু নেইমারকে ঘিরে নয়, কুতিনহোকে নিয়েই। দলটির কোচ হুয়ান কার্লোস ওসারিও তো বলেই দিয়েছেন কুতিনহোই ব্রাজিলের সেরা ফুটবলার।

বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর আগে এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিল কোচ তিতে এবং মেক্সিকোর কোচ ওসারিও এক আড্ডায় বসেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে মেক্সিকো কোচ বলেন, ‘ড্রয়ের সময় আমি তিতের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিতে আমাকে জিজ্ঞাসা করে, আমার মতে ওর টিমের সেরা প্লেয়ার কে? আমি বলেছিলাম কুতিনহো। তাতে তিতেও সম্মতি দিয়েছিল। কোয়ালিটি স্ট্রাইকারদের নিয়ে কিছু বলার থাকে না। ব্রাজিলের আক্রমণভাগে আছে উইলিয়ান, ডগলাস কস্তা এবং নেইমারের মতো তারকা। তবে আমার মতে, কুতিনহো যাবতীয় পার্থক্য করে দিয়ে যাচ্ছে। কারণ মিডফিল্ড থেকে সব পজিশনে ও খেলতে পারে।’

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সুইডেনের কাছে তিন গোলে হেরেছে মেক্সিকো। অথচ নিজেদের প্রথম ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে হারিয়েছিল তারা। তবে সুইডিশদের কাছে হারলেও ব্রাজিলকে একটা প্রচ্ছন্ন হুঙ্কার দিয়ে রেখেছেন ওসারিও, ‘ব্রাজিল যে স্টাইলে খেলে, সুইডেন ঠিক তার উল্টো স্টাইলে। ব্রাজিলের খেলার ধরন অনেকটা আমাদের মতোই। জানি ওদের নেইমার, কুতিনহো, উইলিয়ানের মতো ফুটবলার রয়েছে। তবে আমার দলে প্রত্যেকে বলের জন্য ঝাঁপাবে। সেদিন যারা ভালো খেলবে, তারাই জিতবে।’

মেক্সিকো ম্যাচের আগে ব্রাজিলের বড় দুশ্চিন্তা গ্যাব্রিয়েল জেসুস। ম্যানচেস্টার সিটির এ ফরোয়ার্ড এখনও গোল করতে পারেননি। সেলেকাওদের এক নম্বর ফরোয়ার্ড গ্রুপ পর্বে এবার গোল পাননি।

এর আগে রোমারিও, রোনালদো এবং ফ্যাবিয়ানো প্রত্যেকেই গ্রুপের ম্যাচে গোল পেয়েছিলেন। চার বছর আগে একবার এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।

তবে শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের বিপক্ষে গোল করেছিলেন ফ্রেড। তাই অনেকেই বলছেন মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচে জেসুসের জায়গায় রবার্তো ফিরমিনোকে নামানো হোক। যদিও তিতে দলের পরিবর্তন নিয়ে এখনও কোনো ইঙ্গিত দেননি। জেসুসের মতো খারাপ সময় যাচ্ছে উইলিয়ানেরও। তিনিও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না।